সংবাদ শিরোনাম :
চাঁদাবাজি মামলার জেল ফেরত আসামি তুতু’র আতংকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

চাঁদাবাজি মামলার জেল ফেরত আসামি তুতু’র আতংকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কুয়েত সোসাইটি ফর রিলিফ (কেএসআর) বাংলাদেশ,যার সদর দপ্তর কুয়েতে অবস্থিত।

সংস্থাটির গনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ মোফিজুর রহমান গত ২০ সেপ্টেম্বর ০২৪ তারিখে অফিসের মান ক্ষুন্ন ও কর্মীদের ক্ষতির আশংকায় ঢাকা জেলার উত্তরা দক্ষিণ থানায় একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করেন।

উল্লেখ্য গত চার বছর আগে দাতা সংস্থা কুয়েত সোসাইটি ফর রিলিফ (কেএসআর)-এর কাছ থেকে একটি চক্র কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান, এমডি ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন নুজহাতুল হাসান তুতু নামের একব্যক্তি।

অপতথ্য দিয়ে সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল কন্টেন্ট নির্মাণ করে গণমাধ্যমে প্রচারের হুমকি দেয়।
প্রথমত কে বা কারা এ হয়রানিতে লিপ্ত রয়েছে তা বুঝতে পরেনি দাতা সংস্থাটি।

মিথ্যা,বানোয়াট ও মনগড়া কনটেন্ট বানিয়ে বিশাল অংকের চাঁদা দাবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩ জুন ০২১ সালে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় অজ্ঞাত আসামি করে – ৩৮৫/ ৩৮৭ পেনাল কোড ২০১৮ সনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৪/২৫/২৯/৩৫ ধারায়
মামলা করে কেএসআর কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নুজহাতুল হাসানের ভাগ্নে হাদিউজ্জামান ওরফে হেলাল।পরবর্তীতে তাকে আটক করে পুলিশ।

সন্দেহ আটককৃত ভাগ্নে হেলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে মামা নুজহাতুল হাসান তুতুর পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে ।পরে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে।এবং দুই বছর হাজতবাস করে জামিনে বের হয় তুতু।

নুজহাতুল হাসান ওরফে রাজিব ওরফে তুতু মিয়ার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী গ্রামের
মৃত মালেক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি রাজধানী ঢাকার
পল্লবী এলাকায় বসবাস করেন।

জেল থেকে বের হয়ে
একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সংস্থাটির নামে বিভিন্ন অনিয়মের সংবাদ প্রচার করেছে।
ঘটনাটি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রনদিত হওয়ায় জাতীয় দৈনিক পত্রিকাটি সংবাদটি ভুল হিসেবে প্রতিবাদ প্রকাশ করে।

আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রের তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি উত্তরা বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম উল্লেখ করেছেন, নুজহাতুল হাসান ও তার ভাগিনা হেলাল ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পরিচয় গোপন রেখে লিখিত বার্তা এবং ভিডিও পাঠিয়ে চাঁদা দাবি করেন। তারা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে লিখিত বার্তা এবং ভিডিও পাঠিয়ে ভুক্তভোগীদের মানসিক নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং চাঁদা দাবি করে দণ্ডবিধি ৩৮৫/৩৮৭/৩৪ ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (২০১৮) ২৪/২৫/২৯/৩৫ ধারাবাহিক অপরাধ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এ বিষয় জানার জন্য অভিযুক্ত নুজহাতুল হাসান ওরফে রাজিব ওরফে তুতু মিয়াকে বারংবার ফোন করার চেষ্টা করলেও নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার ফেসবুক ভেরিফাই nuzhatul hasan আইডিতে দেশের গর্বিত,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে কটুক্তি করেছে এবং নিজেকে বিভিন্ন পরিচয়ে পোস্ট করেছেন।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক নাগরিক বাণী